Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বিশ্ব এইডস দিবস
বিস্তারিত

বিশ্ব এইডস দিবস

বিশ্ব এইডস দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১লা ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।[১] এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এইডস মহামারী ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং যারা এই রোগে মারা গেছেন তাদের প্রতি শোক পালন করতে এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকারী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকগণ, বেসরকারী সংস্থাগুলি এবং বিশ্বে বিভিন্ন ব্যক্তি, এইডস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সকলকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে।

বিশ্ব এইডস দিবসটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দ্বারা চিহ্নিত, বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সচেতনতার উদ্দেশ্যে ঘোষিত, আটটি বিশেষ দিনের মধ্যে একটি, বাকি সাতটি দিন হল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসবিশ্ব রক্তদাতা দিবসবিশ্ব টিকা দিবসবিশ্ব যক্ষ্মা দিবসবিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসবিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস এবং বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস[২]

২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, এইডসের জন্য বিশ্বজুড়ে ২৮.৯ মিলিয়ন থেকে ৪১.৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে, এবং আনুমানিক ৩৬.৭ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি সংক্রামিত হয়ে বেঁচে আছে,[৩] এর ফলে এটি নথিভুক্ত ইতিহাস অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম জনস্বাস্থ্য বিষয় হিসাবে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের অনেক অঞ্চলে সাম্প্রতিক উন্নত অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল চিকিৎসা পৌঁছোনোর ফলে, ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যায় মৃত্যুর পর এইডস মহামারী থেকে মৃত্যুর হার কমেছে (২০১৬ সালে ১ মিলিয়ন, যেখানে ২০০৫ সালে ছিল ১.৯ মিলিয়ন)।[৩]

ইতিহাস

সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির দুজন জনতথ্য কর্মকর্তা জেমস ডব্লু বুন এবং টমাস নেটটার দ্বারা ১৯৮৭ সালের আগস্টে প্রথম বিশ্ব এইডস দিবসের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।[৪][৫] এইডস সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির (বর্তমানে আনএইডস নামে পরিচিত) পরিচালক ডঃ জোনাথন মানের কাছে বুন এবং নেটটার তাঁদের ধারণাটির কথা জানিয়েছিলেন। ডঃ মান এই ধারণাটি পছন্দ করে এটির অনুমোদন করেন এবং ১৯৮৮ সালের ১লা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসটি প্রথম পালন করা উচিত এমন পরামর্শের সাথে একমত হন।[৬] সান ফ্রান্সিসকোর প্রাক্তন টেলিভিশন সম্প্রচার সাংবাদিক বুন, ১লা ডিসেম্বর তারিখটির সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল মার্কিন নির্বাচনের যথেষ্ট পরে কিন্তু বড়দিনের ছুটির আগে, পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমগুলি দ্বারা বিশ্ব এইডস দিবসের প্রচার সর্বাধিক হবে।[৬]

এর প্রথম দুই বছরে, বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য শিশু এবং তরুণদের লক্ষ্য করে তৈরি হয়েছিল। এই প্রতিপাদ্যটি বেছে নেওয়ার সময়, কিছু ঘটনা উপেক্ষা করার কারণে এর সমালোচনা করে বলা হয়েছিল যে সমস্ত বয়সের লোকেরা এইচআইভিতে আক্রান্ত হতে পারে, প্রতিপাদ্যটি রোগটিকে ঘিরে থাকা কিছু কালিমা মোচন করতে এবং পারিবারিক রোগ হিসাবে সমস্যাটির স্বীকৃতি বাড়াতে সহায়তা করেছিল।[৭]

১৯৯৬ সালে এইচআইভি / যৌথ জাতিসংঘের এইডস সম্পর্কিত কর্মসূচি (ইউএনএআইডিএস) চালু হয়েছিল, এবং এটি বিশ্ব এইডস দিবসের পরিকল্পনা ও প্রচারের দায়িত্ব অধিগ্রহণ করে।[৭] শুধু একটি দিনে মনোযোগ না দিয়ে, আনএইডস ১৯৯৭ সালে বছরব্যাপী যোগাযোগ, প্রতিরোধ ও শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বিশ্ব এইডস অভিযান তৈরি করেছিল।[৭][৮] ২০০৪ সালে, বিশ্ব এইডস প্রচার, একটি স্বাধীন সংগঠনে পরিণত হয়েছিল।[৭][৮][৯]

প্রতি বছর, পোপ জন পল দ্বিতীয় এবং দ্বাদশ বেনেডিক্ট বিশ্ব এইডস দিবসে রোগী এবং চিকিৎসকদের জন্য একটি শুভেচ্ছা বার্তা প্রকাশ করেন।[১০][১১][১২][১৩][১৪]

২০১৬ সালে, এইচআইভি এবং এইডস সম্পর্কিত এনজিওগুলি (প্যানেজিয়া গ্লোবাল এইডস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এইডস এবং অধিকার জোট সহ) বিশ্ব এইডস দিবসটিকে বিশ্ব এইচআইভি দিবসের নামে করার জন্য একটি প্রচার কার্য শুরু করেছিল। তারা দাবি করে যে এই পরিবর্তন সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়গুলি, এবং প্রি এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস (ব্যাধির আক্রমণ হবার আগে চিকিৎসা) এর মতো চিকিৎসার অগ্রগতির ওপর জোর দেবে।[১৫]

২০০৭ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, হোয়াইট হাউস ভবনের উত্তরের বারান্দায়, ২৮ foot (৮.৫ মি) লম্বা এইডস ফিতা সাজিয়ে, বিশ্ব এইডস দিবসকে চিহ্নিত করা শুরু করে।[১৬][১৭] সেই সময়, রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ. বুশ প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকারী হোয়াইট হাউসের সহযোগী স্টিভেন এম লেভাইন, বিশ্ব এইডস মহামারী মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত পিইপিএফএআর প্রোগ্রামের প্রতীকের মাধ্যমে প্রদর্শনের প্রস্তাব করেছিলেন।[১৮] হোয়াইট হাউস প্রদর্শন, যেটি এখন পরপর চারজন রাষ্ট্রপতির প্রশাসনেই একটি বার্ষিক ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, দ্রুত সম্মতি জারি করে।[১৯][২০][২১]

বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য

১৯৮৮ সাল হতে বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্যসমূহ হলো নিম্নরূপঃ

১৯৮৮
যোগাযোগ
১৯৮৯
যৌবন
১৯৯০
নারী এবং এইডস
১৯৯১
বিপদ ভাগ করে নেওয়া
১৯৯২
সামাজিক প্রতিজ্ঞা
১৯৯৩
আইন
১৯৯৪
এইডস এবং পরিবার
১৯৯৫
ভাগ করা অধিকার, ভাগ করে নেওয়া দায়বদ্ধতা
১৯৯৬
এক বিশ্ব। এক আশা
১৯৯৭
শিশুরা এইডস নিয়ে একটি বিশ্বে বসবাস করছে
১৯৯৮
পরিবর্তনের জন্য বলপ্রয়োগ: তরুণদের নিয়ে বিশ্ব এইডস অভিযান
১৯৯৯
শোনো, শেখো, বাঁচো: শিশু এবং তরুণদের নিয়ে বিশ্ব এইডস প্রচারাভিযান
২০০০
এইডস: মানুষ পার্থক্য তৈরি করে
২০০১
আমি যত্নশীল। তুমি কি?
২০০২
কলঙ্ক এবং বৈষম্য
২০০৩
কলঙ্ক এবং বৈষম্য
২০০৪
নারী, বালিকা, এইটআইভি এবং এইডস
২০০৫
এইডস থামাও। প্রতিশ্রুতি রাখো
২০০৬
এইডস থামাও। প্রতিশ্রুতি রাখো - জবাবদিহি
২০০৭
এইডস। আপনার জন্য খারাপ।
২০০৮
এইডস রুখে দিন। প্রতিজ্ঞা- নেতৃত্ব- ক্ষমতায়ন- মুক্তি ধরে রাখুন[২৩]
২০০৯
সর্বজনীন প্রবেশ এবং মানবাধিকার[২৪]
২০১০
সর্বজনীন প্রবেশ এবং মানবাধিকার[২৪]
২০১১
এইডস সংক্রান্ত মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনুন[২৫]
২০১২
একসাথে এইডস নির্মূল করব[২৬]
২০১৩
গেটিং টু জিরো অর্থাৎ নতুন এইচআইভি সংক্রমণ, এইডস রোগীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ - এই তিনটি বিষয় শূন্যে নামিয়ে আনা।[২৭]
২০১৪
তফাৎ বন্ধ করুন[২৮]
২০১৫
প্রথম পদক্ষেপ হোক এইচআইভি নির্মূল[২৯]
২০১৬
#এইচআইভি রুখতে সাহায্য করুন[৩০]
২০১৭
আমার স্বাস্থ্য আমার অধিকার[৩১]



তারিখ ও সময়
01-12-2022 10:30:00
স্থান
সম্মেলন কক্ষ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,রুপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ